শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ৬নং চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে শিক্ষক  নিবন্ধন পরীক্ষা না দিয়ে এমপিও ভুক্ত হতে দৌড়ঝাঁপ ও মোটা অংকের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে  খন্ডকালীন মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমন সংবাদে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।খোঁজ খবর ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,ইউনিয়নের কালু ফকির পাড়া আদর্শ বালিকা দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি আবেদন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণও করা হয়েছে।কতৃপক্ষ অনুসন্ধান চালিয়ে এমপিও হওয়ার যোগ্যতা রাখে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এমন সংবাদটি কালু ফকির পাড়া মাদ্রাসা কতৃপক্ষের কাছে পৌছে।মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করলে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১৪ জন শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রেরন করেন।এ তালিকার সাথে একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক(আরবি) মৌলানা সেলিম উদ্দীনের নামটিও প্রেরণ করে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি।এদিকে তার নামটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারই সহকর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানায়,উক্ত শিক্ষক সেলিম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (ইনডেক্স) না দিয়ে কি ভাবে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক হতে আবেদন করেছে আমাদের বোধগম্য নয়।এমপিও ভুক্ত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই যথাযত নিয়ম অনুসর করতে হয়।সে একবারও নিবন্ধন পরীক্ষা না  দিয়ে কেমনে আবেদন করে?

সুত্রে জানা যায়,এ ক্ষেত্রে সেলিম পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার সিরাজুল ইসলাম নামের এক জালিয়াতকারীর সহযোগিতায় একই উপজেলার সেলিম উদ্দীন নামের অপর ব্যক্তির নিবন্ধন পরীক্ষার সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছে।বিষয়টি চাউর হলে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চয় সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন আইন ২০০৫ অনুসারে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে হলে আগে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হয়।বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ ( এনটিআরসিএ) দেশের সংযুক্ত এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক পদে নিয়োগ ইচ্ছুকদের নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন বিশেষ পরীক্ষা নেওয়ার বিধান থাকলে তা মানা হয়নি।জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি সুপার মৌলানা নুরুল আলমের যোগসাজশে এ কাজটি সম্পাদন করতে পেরেছে খন্ডকালীব শিক্ষক সেলিম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার মৌলভী নুরুল আলম জানায়,মাদ্রাসাটি এখনো পাঠদানের অনুমতি রয়েছে।এমপিও করার কোন আবেদন, এমনকি শিক্ষকদের তালিকাও প্রেরণ করা হয়নি।  সহ সুপার মৌলানা কারী মাইন উদ্দীন বলেন,কতিপয় ব্যক্তিরা মাদ্রাসার উন্নয়ন, লেখাপড়ার মান ও রেজাল্ট দেখে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।অভিযোগ রয়েছে উক্ত শিক্ষক সেলিম উদ্দীন যোগদানের পর থেকে ছাত্রীদের শ্লীনতাহানি, বেতের বদলে হাত দিয়ে মারধরসহ হরেক রকম কর্মকান্ড করে আসছে।ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের গায়ে হাত তোললেও চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।এসব বিষয়ে উক্ত শিক্ষক সেলিম উদ্দীনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন,তিনবার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম,পরীক্ষা ভাল হয়নি।প্রবেশপথ দেখাতে বললেও প্রদর্শন করতে পারেনি তিনি।অন্য অভিযোগ গুলো ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন সে।

মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।